চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের খোয়াজনগর ৬নং ওয়ার্ডের বড় হাফেজ আব্দুল করিম এর বাড়ীতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সন্ধ্যা ৫.৩০ টায় দুই পক্ষের মধ্যে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে গুরুত্বর আহত হয়ে ২ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৯ ও ২৪নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।
আহতরা হলেন মোহাম্মদ সোলাইমান (৪৩) ও মোহাম্মদ সেকান্দর (৩৭) পিতা মতিউর রহমান।
তাদের মধ্যে সোলাইমানের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন তার পরিবার। তার কণ্ঠনালীতে ছুরির আঘাত লাগে।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়- গত ৫ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) মাগরিব নামাজের পূর্বে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে প্রতিবেশিদের মধ্যে সামান্য তর্কের মধ্যে মোঃ আজম আলী (৩০) পিতা-মুহাম্মদ মুকিব ছুরি নিয়ে হামলা করলে ঘটনাস্থলে লুটে পড়ে আহত মোহাম্মদ সোলাইমান। তাকে উদ্বার করতে ছোট ভাই মোহাম্মদ সেকান্দর এগিয়ে আসলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে ২ ভাই গুরত্বর আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেলের ১৯ ও ২৪নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
এবিষয়ে কথা হয় খোয়াজনগর ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম পাটোয়ারীর সাথে তিনি জানান-জায়গাটি নিয়ে জামাল শাহ্ (রহ.) জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও মতিউর রহমান এর পরিবারের সাথে আদলতে মামলা চলমান। সম্প্রতি সময়ে মতিউর রহমান এর পরিবার জায়গার নিকটবর্তী আক্তারী বেগম (৪০) পরিবারের চলাচলের পথ বন্ধ করে দিলে উভয়ের মধ্যে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে আক্তারী বেগমের ছোট ভাই মোঃ আজম আলী (৩০) প্রতিপক্ষের উপর ছুরি নিয়ে হামলা করে। এতে মোহাম্মদ সোলাইমান ও তার ছোট ভাই মোহাম্মদ সেকান্দর গুরুত্বর আহত হয়।
ঘটনাস্থলে কর্ণফুলী থানার একটি টিম পরিদর্শনে আসলেও এখন পর্যন্ত মামলা দায়ের করা হয়নি। এবিষয়ে কথা হয় কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ এর সাথে তিনি জানান, উক্ত ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে আমাদের টিম পাঠানো হয়েছে। মামলা হলে আইনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply